বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রণোদনা বাড়ানো হয়েছে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:: চলতি অর্থবছরে ২৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রণোদনা বাড়ানো হয়েছে। রেমিট্যান্সের লক্ষ্য অর্জন করতে গেলে ইনসেনটিভ আরেকটু বাড়িয়ে দেওয়ার দরকার ছিল। সেজন্য রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বর্ধিত খরচ যোগান দিতে প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শনিবার (১ জানুয়ারি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কিত চূড়ান্ত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রি-ইভেন্ট সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্স বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক এলাকায় কত বড় ভূমিকা রাখে সেটি অর্থনীতিবিদরা বুঝবেন এবং তারা আমার সঙ্গে একমত পোষণ করবেন যে, এটি অসাধারণ ভালো কাজ হয়েছে। আমরা এটাকে সঠিক চ্যানেলে আনার চেষ্টা করছি। আমরা রেমিট্যান্স পাচ্ছিলাম না, কারণ সেটা ইনফরমাল চ্যানেলে চলে যাচ্ছিল। সেই চ্যানেলটাকে অনুৎসাহিত করব এবং ফরমাল চ্যানেলেই পুরোটা অর্জন করতে চাই। সেজন্যই প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। আজ থেকে এটি কার্যকর। আশা করি এই অর্থবছরে ২৬ বিলিয়ন অর্জন হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা বাড়ালাম। কারণ আমি যখন পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলাম সেসময় আমি নিজে স্টাডি করেছি। ওই সময় আমাদের রেমিট্যান্স যা অর্জন করার কথা, আমরা ৪৯ শতাংশ অর্জন করতাম ফরমাল চ্যানেলে আর ইনফরমাল চ্যানেলে বাকিটা আসত। আমি চিন্তা করলাম এটাকে ফরমাল চ্যানেলে আনলে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং সবাই এটার বেনিফিট পাবে। সেই চিন্তা থেকে আমরা প্রথম ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এরপর লক্ষ্য করলাম আমাদের যে উদ্দেশ্য সেটি সফল। আমাদের যে অ্যাভারেজ রেমিট্যান্স ছিল ১৪ শতাংশ, এই প্রণোদনা দেওয়ার পর প্রথম বছরে রেমিট্যান্স বেড়ে হলো ১৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর আমাদের রেমিট্যান্স আরও বেড়ে যায় এবং ২০২০-২১ সালে আমাদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এই অর্জন আমি মনে করি একদিকে আমরা সহজ করেছি এবং পাশাপাশি ২ শতাংশ প্রণোদনা কাজে লেগেছে। কারণ রেমিট্যান্স পাঠাতে একটি খরচ করতে হয় সেটি কাভার করতে পারছে। এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার। সেটা করতে গেলে আমরা দেখলাম যদি ইনসেনটিভ আরেকটু বাড়িয়ে দেই তাহলে বর্ধিত যে খরচ তারা সেটি কাভার করতে পারবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com